- শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
বেলায়েত সুমন
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দ্বিতীয় ধাপের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের আর মাত্র চার দিন বাকি।এই উপজেলায় ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ মকবুল হোসেন পাটোয়ারীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে মোঃ ওমর ফারুক লড়ছেন আনারস প্রতিক নিয়ে। প্রতিক বরাদ্দের পর প্রচার প্রচারণার বহর দেখে চেয়ারম্যান প্রার্থীদ্বয়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ সম্পর্কে জানতে নির্বাচনী এলাকার উৎসুক মানুষের কৌতুহল আরও বাড়তে থাকে।এদিকে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরেক প্রার্থীর অভিযোগ,প্রার্থীর মামলার তথ্য গোপন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ সহ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন সরগরম।এরই প্রেক্ষিতে দুই প্রার্থীর নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণ করেছে ক্রাইম রিপোর্ট।
নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, মোহাম্মদ মকবুল হোসেন পাটোয়ারীর বাৎসরিক আয় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। নিজ নামে নগদ ১২ কোটি ৮৬ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৯ টাকা,স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪ কোটি ৩১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮৭ টাকা।নিজ নামে প্রাইভেট কার রয়েছে ৪৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা মূল্যের। ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে লাখ টাকার। অকৃষি জমি রয়েছে ৬৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৩ টাকা মূল্যের। ৬ টি ফ্ল্যাট রয়েছে ৩ কোটি ৪২ লাখ ৭২ হাজার ৮৯৭ টাকা মূল্যের।এর মধ্যে ঢাকার বড় মগ বাজারে দুইটি,নিউ ইস্কাটন রোডে একটি,বসুন্ধরায় তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগ রয়েছে এক কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার, পার্টনার বিনিয়োগ রয়েছে ৫৫লাখ ৫৯হাজার ৪০৩ টাকা,অন্যত্র বিনিয়োগ রয়েছে ৫০ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে কোম্পানির শেয়ার বিনিয়োগ রয়েছে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, পার্টনার বিনিয়োগ রয়েছে ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৬ টাকা।তবে কৃষি জমি ও সোনা নেই মকবুলের।
অপরদিকে মোঃ ওমর ফারুকের নগদ টাকা রয়েছে পাঁচ লাখ।ব্যাংকে জমা রয়েছে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫০ টাকা। জন্মদিন ও বিয়েতে উপহার হিসেবে প্রাপ্ত সোনা রয়েছে ৪০ ভরি। ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুল্যের জিপ গাড়ি রয়েছে।আসবাবপত্র রয়েছে দেড় লাখ টাকার।ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে দুই লাখ টাকার। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে শাহরাস্তির কসবা,বেত্তলায় নিজের নামে প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষি জমি রয়েছে যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এরমধ্যে বেততলা মৌজায় ৬৬দশমিক ৭১২ শতক কৃষি নাল জমি রয়েছে। আয়কর রির্টানে যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। কিন্তু বেত্তলা মৌজার দর পর্যালোচনায় দেখা গেছে সেখানে প্রতি শতাংশ নাল ভূমির মূল্য ১৮ হাজার ১৯৫ টাকা। সে হিসেবে ৬৬ শতক ভূমির মূল্য রয়েছে ১২ লাখ টাকা। কিন্তু আয়কর রির্টানে ওমর ফারুক ৩লাখ ৩৯ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন। ৮ লাখ ৬১ হাজার টাকার হিসেবে গড়মিলের অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের শ্রীখণ্ড এলাকায় অকৃষি জমি রয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৪২৮ টাকা মূল্যের। কৃষিখাত থেকে বাৎসরিক আয় ২০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। বাড়ি নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার।
আনারস প্রতিকের প্রার্থী ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে হলফনামায় মামলার তথ্য গোপনসহ সম্পদের তথ্যগোপন করার অভিযোগ উঠেছে।