রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ ড. এম.এ.সাত্তারের ৯১তম জন্মদিন

মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক ভাবনা

মোঃ রুহুল আমিন


বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কৃতি সন্তানদের মধ্যে একজন ছিলেন ড. এম.এ. সাত্তার। তিনি ছিলেন, বাংলাদেশ গণশিক্ষা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব(সিএসপি), বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, বাংলাদেশ নারী শিক্ষার অগ্রদূত, মসজিদভিত্তিক শিক্ষার রুপকার এবং বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ।।

ড. এম.এ. সাত্তার ১৯৩২ সালের ১ জুন তৎকালীন বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার বর্তমান চাঁদপুর(পরে মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়) জেলাধীন শাহারাস্তি উপজেলার নাওড়া গ্রামের ঐতিহাসিক পাটওয়ারী বাড়িতে (এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আজিজুর রহমান পাটওয়ারী (আজিজ খলিফা) ও মায়ের নাম করফুলেন্নেছা। বাবা আজিজুর রহমান পাটওয়ারী ছিলেন দিব্যজ্ঞানে সমৃদ্ব এবং মা ছিলেন একজন বিদুষী মহিলা।

ড.এম.এ. সাত্তার শাহারাস্তির নিউ স্কিম হাই মাদ্রাসায় (বর্তমানে শাহারাস্তি সরকারি বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়) অধ্যয়ন করেন এবং জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন। তারপর তিনি চট্টগ্রামে হাই মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং ঐ মাদ্রাসা হতে ১৯৫১ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে মেট্রিক পাস করেন ।

তিনি ১৯৫৩ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বোর্ডের মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করে আইএ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন । ১৯৫৬ সালে তিনি অর্থনীতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে তৃতীয় স্থান লাভ করেন।

১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি লোক প্রশাসনে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন এবং একই সাথে সিএসপি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সারা পাকিস্তানে প্রথম স্থান অধিকার করে লাহোর সিভিল সার্ভিস ট্রেনিং একাডেমিতে যোগদান করেন।
দীর্ঘ এক বছর ট্রেনিং শেষে তিনি যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন ।

১৯৬০ সালে সিএসপি অফিসার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তাঁর প্রথম কর্মস্থল ছিল বৃহত্তর সিলেট জেলার মৌলভীবাজার মহকুমা প্রশাসক হিসেবে। অতঃপর তিনি রংপুর নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারের হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬২ সালে ব্রিটিশ নাগরিক ড. এলেন মেরি হেরিংটনের সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন । বিয়ের পূর্বে তিনি বিলেতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকালে মেরির সাথে পরিচিত হন, পরিচয় থেকে পরবর্তীতে বেশ কয়েক বছর পর মেরির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। অতঃপর তিনি নারায়নগঞ্জ মহাকুমা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি মেরিকে বিয়ে করেন। তাঁর বিয়ে পড়ান জ্ঞানতাপস ড.শহীদ উল্লাহ। তার বিয়ে হয় ইসলামী রীতিনীতি মেনে কিন্তু আংটি বদল হয় খ্রিস্টান ধর্মীয় রীতিতে।

ড. সাত্তার ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উইলিয়াম কলেজ থেকে ডেভলপমেন্ট ইকনমিক্সে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন ।
১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করায় পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি হন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তাঁর ২৫তম মৃত্যুবাষির্কী পালন উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় তাঁর প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ২০১৭ সালে ২৬ মে এক আলোচনা সভা বেইস ৫৫, পল্টনস্থ প্রধান কার্যালয়ে একটি স্বরণ সভার আয়োজন করে। ঐ সভায় কাকতালীয়ভাবে কোন প্রকার ঘোষণা ও দাওয়াত ছাড়াই বর্তমান সরকারের বিগত ২ মেয়াদ আগে বহিস্কৃত বস্ত্রমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী অপ্রত্যাশিতভাবে সভাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় আলোচনা সভা চলছিল। তিনি ৫ম তলায় আলোচনা সভার গেইটে এসে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি চাইছিলেন। এসময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর এর বড় বোন নীলুফার বেগম(তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন) দায়িত্ব পালন করার ঘোষণা আসছিলো। এসময় লতিফ সিদ্দিকীকে দেখে সভায় উপস্থিত প্রায় সকল অতিথি বিস্মিত হন। সাথে সাথে বেইসে’র পরিচালক ও সভার প্রধান অতিথি নীলুফার বেগম তাঁকে এগিয়ে গিয়ে সভাস্থলে আসার সাদর অভ্যর্থনা জানান এবং নীলুফার বেগম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে লতিফ সিদ্দিকীর নাম ঘোষণা করেন।

অতঃপর সভায় আমন্ত্রিত সকল অতিথির বক্তব্য দেয়া শেষে লতিফ সিদ্দিকী তার স্বভাবসুলভ বক্তব্যে বলেন, ড. এম.এ. সাত্তার তাঁর বাবার পরের স্থানটি দখল করে আছেন। তিনি সেই দায় থেকেই দাওয়াত ছাড়াই আজকের আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়েছেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ড. এম. এ. সাত্তারের বিরাট অবদান রয়েছে। তিনি ছিলেন, জাতির সূর্য সন্তান। তিনি স্মৃতি চারণ করে আরও বলেন, একবার লতিফ সিদ্দিকী ড. এম.এ সাত্তারের সাথে.”বুরুক্রেট অফিসার” হিসেবে তিনি খারাপ আচরণ করে বসেন যা বঙ্গবন্ধুর চোখ এড়ায়নি। বঙ্গবন্ধু লতিফ সিদ্দিকীকে ডেকে জানতে চাইলেন ড.এম.এ.সাত্তারের সাথে তার খারাপ ব্যবহার করার হেতু কি? উত্তরে লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন তিনি ‘বুরুক্রেট’ আর বুরুক্রেটরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় তাদেরকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু তাঁর দেয়া উত্তর শুনে লতিফ সিদ্দিকীকে বেশ শাসন করেন এবং বলেন, তুমি কি জান ড.এম.এ সাত্তার আমার কি হয়? বঙ্গবন্ধু বলেন, ড. এম. এ. সাত্তার আমার ভাষা বুঝে, আমি যতবার জেলে গিয়েছি ততবার স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ববর্তী সময় ও পরে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকালে ড.এম. এ সাত্তার আামার সব চিঠি এডিট করে প্রশাসনের সকল স্তরে পাঠাতো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই সবেমাত্র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রীয় পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এ সময় একবার বঙ্গবন্ধুকে সাংবাদিকগণ প্রশ্ন করেছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ বিনির্মানে তাঁর(বঙ্গবন্ধু’র) কি কি পদক্ষেপ নিবেন? জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার দুই জন মানুষ হলে চলবে। উপস্থিত সাংবাদিকগন বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করেন, দুই জন মানুষ দিয়ে কি হবে? জবাবে তিনি বলেছন ঐ মানুষ দুই জন হলে দেশ বিনির্মাণের প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা আমি করে ফেলবো কোন সমস্যা হবেনা। তাঁদের একজন ড. এম. এ সাত্তার এবং অপরজন ড. কামাল হোসেন। ” আমার এই লেখা যে কেউ চাইলে লতিফ সিদ্দিকী’র নিকট থেকে জেনে নেয়ার বিনীত অনুরোধ করছি। আমি এখানে লতিফ সিদ্দিকী’র বক্তব্য থেকে সারমর্ম উদ্ধৃত করেছি মাত্র। এছাড়াও তিনি ড. সাত্তার এর বহু লেখা রয়েছে তা দেশের মানুষের জানা ও বুঝার জন্য জাতির জন্য অনেক নির্দেশনামুলক লেখা লিখেছেন যা অপ্রকাশিত রয়েছে ঐ লেখাগুলো প্রকাশের উদ্যোগ নিতে বেইস কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। এপ্রসংগে তিনি আরও বলেন, বেইস কর্তৃপক্ষ তাঁর অপ্রকাশিত লেখা এবং ইতিমধ্যে প্রকাশিত লেখাসমূহ আর বেশি সংখ্যক প্রকাশের অনুরোধ করেন। তিনি এও বলেন, বেইস কর্তৃপক্ষের ঐ সমস্ত প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত বই ও লেখা সমূহ প্রকাশে কোন সমস্যা থাকলে তিনি তাঁর(লতিফ সিদ্দিকীর) নিজ খরচে প্রিন্ট করে বেইস কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করতে রাজী। আমার এই লেখার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। আর তা হল ড. এম.এ সাত্তারকে একটি বিশেষ গোষ্ঠী ১৫ আগস্টে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বঙ্গবন্ধুর সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের নারকীয় হত্যাকাণ্ডে ড.এম.এ সাত্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে ২০১৭ সালে জাতীয় দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশিত হয়। ঐ সময় দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে ড. এম. এ সাত্তারের পক্ষ এবং বিপক্ষে মতামত আসে। আমার একবন্ধু ড. এম.এ সাত্তারের বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার হয়। আমি তাঁর সেই লেখার জোর প্রতিবাদ করি এবং তার দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপনের জোর দাবি জানাই। এবিষয়ে আমার সেই বন্ধুটি আর সামনে বাড়েনি। বিগত ২০২১ সালে অক্টোবর বা ডিসেম্বর মাসে চাঁদপুরের একটি স্থানীয় পত্রিকার ৩য় বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সংশ্লিষ্ট একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে অসীন (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা) বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নারকীয় হত্যাকাণ্ডে ড. এম.এ. সাত্তারের সংশ্লিষ্টতার কথা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তুলে ধরেন। আমি ঐ সময় পত্রিকাটির চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। আমি সেই বক্তব্যের জোর প্রতিবাদ জানাই এবং এর স্বপক্ষে কোন দালিলিক প্রমাণ থাকলে তা আমাকে দেয়ার সবিনয় অনুরোধ করি। আমার দাবির প্রেক্ষিতে সভার প্রধান অতিথি মহোদয় আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন আমি সাংবাদিক কি-না। তাঁর জবাবে আমি জানাই যেহেতু আমি ড. এম. এ. সাত্তারের বিষয়ে লিখি তাই এবিষয়ে আমার জানার জন্য তাঁর করা বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া আমার অতীব প্রয়োজন। তিনি আমাকে খুঁজে দেখার পরামর্শ দেন। কিন্তু ঐ সভার প্রধান অতিথি এবিষয়ে আজও কোন প্রমাণ সরবরাহ করেননি। ড.এম.এ.সাত্তার কি আদৌও বঙ্গবন্ধুর নারকীয় হত্যাকাণ্ডের কোন পরিকল্পনার সাথে যুক্ত না-কি তা ড.এম.এ.সাত্তারের বিরুদ্ধে কোন মহলের মিথ্যা রটনা। এ সত্যটা আজ আমাদের জানা অতীব জরুরি।

এ প্রসঙ্গে আমি আরও বলতে চাই ড.এম.এ সাত্তারের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বেইস কর্তৃক প্রকাশিত স্বরণীকার প্রতি পাঠক ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ঐ স্বরনীকার অধিকাংশ লেখক ছিলেন, ড.সাত্তারের সহকর্মী, শুভার্থী, বন্ধু সুধী সমাজের অংশীজন ও সমাজ সেবক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান। এদের মধ্যে ড. মহী উদ্দীন খান আলমগীর, তাঁর বোন নীলুফার বেগম, বেইস’র পরিচালক সহ অনেক সিএসপি এবং সচিব। আমি তাঁকে উৎসর্গ করা সেই স্বরনীকায় প্রকাশিত ড.সাত্তারের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও দেশ বিনির্মানে ভূমিকা সম্পর্কে পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস সেই স্বরনীকার লেখা পড়ার পর আর কেউ তাঁকে নিয়ে বিতর্ক করার সুযোগ থাকবে না আশা করি। জাতি বিনির্মানে একজন মানুষ সম্পর্কে তার ভূমিকা সম্পূর্ণ না জেনে অপবাদ দিলে তা পড়ে বা শুনে আমরা আহত হই।আমরা আশা করি সংশ্লিষ্টগন এবিষয়ে পড়ে, জেনে বিতর্ক করা সমীচীন। তা-না হলে একজন মানুষের বিষয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কিছু বলা নিশ্চয়ই তাঁর প্রতি অবিচারের সামিল। যা কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না নিশ্চয়ই। তথ্য প্রমাণ ছাড়া আমরা ড.সাত্তারের আবদানকে খাটো করা বক্তব্য অবসান চাই। সাথে সাথে একথাও বলতে চাই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক করার স্বপক্ষে যদি কোন প্রমাণাদী থাকে তবে তা প্রমাণাদী সহ লেখার অনুরোধ করছি।

ড. সাত্তার ব্যক্তি জীবনে চার পুত্র সন্তানের জনক ।
তারা সবাই সুশিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত, বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। তার ৪ ছেলেই বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। তারা কেউ বাংলাদেশে বসবাস করেন না।

তিনি ১৯৯২ সালের মে মাসের চতুর্থ সপ্তাহে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত পরিবার পরিকল্পনা সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা আইকমের মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে যোগদান করতে যান এবং মে মাসের ২৬ তারিখে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারনে মৃত্যুবরণ করেন । তাঁর মৃত্যুটি অনেকে রহস্যবৃত মনে করেন।

এবছর বিগত ২৬ মে ড.এম.এ সাত্তারের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় তার নিজ গ্রামে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান পালন করে। ড. সাত্তারের অবদানের ফলশ্রুতিতে চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলার শিক্ষার হার ৯৬% ভাগে উন্নীত হয়েছে । তাঁর নাম চাঁদপুরের শাহরাস্তি তথা সারা দেশবাসীর হৃদয়ে চিরদিন অমলিন হয়ে থাকবে ।আমরা তার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে তাঁকে স্বরণ করি।

লেখকঃ সাংবাদিক,মানবাধিকার কর্মী।

Comments are closed.

More News Of This Category