মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতালে সিজারে নবজাতকের পা ভাঙার অভিযোগ

চাঁদপুর প্রতিনিধি 


চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের পা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতালের ডা. রনি চন্দ্র মজুমদার ও ডা. সাদিয়া আফরিনের বিরুদ্ধে।নবজাতকের পা ভাঙার ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় মডেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রনি চন্দ্র মজুমদার, ডা. সাদিয়া আফরিন ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে বিবাদী করে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
 অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড টোরাগড় হোসেন উদ্দিন হাজী বাড়ির ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী নাজমা আক্তার কে গত ১৮ এপ্রিল হাজীগঞ্জ বাজারস্থ মডেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডা. রনি চন্দ্র মজুমদার ও ডা. সাদিয়া আফরিন সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। সিজারে ইউসুফ-নাজমা দম্পতির কোল আলোকিত করে পুত্র সন্তান।ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে করা অভিযোগে উল্লেখ করেন,”গত ২৬/০৪/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আমার শিশু ছেলে সন্তানের বাম পায়ে সমস্য হয়েছে মর্মে সংবাদ পাইয়া আমি ডাক্তার কর্তৃক এক্স-রে করাই। এক্স-রে রিপোর্ট এর দেখা যায় যে, আমার শিশু ছেলে সন্তানের বাম পায়ের হাটুর উপরী অংশের হাড় ভাঙ্গা। তখন আমি আমার স্ত্রীর নিকট থেকে জানিতে পারি যে, ঘটনার তারিখ ও সময়ে ডেলিভারী ডাক্তার আমার স্ত্রীর ডেলিভারী করার সময় ভুল করে আমার শিশু ছেলে সন্তানের বাম পায়ের উপরী অংশে ধরিয়া টানা-হেঁচড়া করিলে আমাদের নব-জাতক শিশুর বাম পায়ের হাটুর উপরী অংশের হাড় ভাঙ্গীয়া দুই টুকরা হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি উক্ত হসপিটালের ডাক্তার বর্ণিত ১ ও ২নং বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগনকে জিজ্ঞাসা করিয়া কোন প্রকার সৎ উত্তর না পাইয়া আমার স্ত্রী-সন্তানকে অন্যত্র নিয়া চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করিলে ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগন আমাকে বাঁধা প্রদান করিয়া হুমকি ধর্মকি সহ ভয়ভীতি প্রদান করে বিধায় আমি নিরুপায় হইয়া ঘটনার বিষয়ে সাক্ষীগন সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল। উল্লেখ্য যে, মডেল হসপিটালের ডাক্তার ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের এহেন অবহেলার দরুণ আমার শিশু ছেলে সন্তানের যেকোন প্রকার ক্ষতি সাধন হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান।”
মডেল হসপিটালের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া আফরিন সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে চেম্বার থেকে সটকে পড়েন। বারংবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
 হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নাঈম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments are closed.

More News Of This Category