রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা ও টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

নিউজ ডেস্ক


কুমিল্লায় বিজিবি ও কক্সবাজারে র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চার ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত হয়েছে। শনিবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার মাথুরাপুর এবং কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং-বাহারছড়া সড়কের পাহাড়ি ঢালা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

র‍্যাব-১৫-এর টেকনাফ ক্যাম্পের কর্মকর্তা লে. কমান্ডার (বিএন) মির্জা শাহেদ মাহতাব জানান, শনিবার রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং-বাহারছড়ার পাহাড়ি ঢালা নামক এলাকায় ইয়াবার একটি বড় চালান পাচার হচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে র্যাবের একটি বিশেষ দল ওই এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে থাকা  অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। র‍্যাবও  পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে র‍্যাবের দুই সদস্য আহত হন। এক পর্যায়ে অস্ত্রধারীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন মাদক ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।


             র‍্যাব বিজিবি’র                            অভিযান 


নিহতরা হলেন কক্সবাজার পৌরসভারচৌধুরীপাড়ার গবি সোলতানের ছেলে দিল মোহাম্মদ, একই এলাকার মো. ইউনুছের ছেলে রাশেদুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের আমিরাবাদের মাস্টারহাট এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শহিদুল ইসলাম।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে কুমিল্লা ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, মাদকের একটি বড় চালান আসছে এমন খবর পেয়ে শনিবার রাত ৩টার দিকে বিজিবির একটি দল জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী মথুরাপুর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় চোরাকারবারিরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলিতে এক পর্যায়ে অন্য মাদক চোরাকারবারিরা পালিয়ে গেলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের নাম আবুল হাশেম। তিনি জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের মিন্নত আলীর ছেলে।

Comments are closed.

More News Of This Category