বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ!

নিউজ ডেস্ক


আজ মঙ্গলবার ( ৪ জুন ) চাঁদপুরের ৪০ টি গ্রামে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের পবিত্র এই ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর।সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এসব গ্রামের বাসিন্দারা এই উৎসব পালন করছেন। এই উৎসবে শামিল হওয়া মানুষজন  বিভিন্ন পীরের অনুসারী।পীরের নির্দেশেই দীর্ঘ দিন ধরে এই উৎসবে পালন করে আসছেন তারা।

চাঁদপুরের ৪০ গ্রামের বাসিন্দারা হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারী।এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক একদিন আগে ধর্মীয় উৎসব পালনের রেওয়াজ চালু করেন।

চাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার  ঈদ উদযাপিত হওয়া চাঁদপুরের গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে-

হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কূল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট

মতলব উপজেলার  মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রাম।

জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি।

ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান মাওলানা ইসহাক ওই বছরই নিজ গ্রামে ফিরে একই উদ্যোগ নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। গ্রামের অসহায় ও দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রথা চালু করেন। পরে তিনি দরবার শরীফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

ইতোমধ্যে সেখানে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

Comments are closed.

More News Of This Category