বিশেষ প্রতিনিধি []চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের করিম বাগান কার্ত্তিক ডাঃ এর বাড়ির দুই সন্তানের জনক মানিক দেবনাথ (৪৫) এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার সিদলা যুগী বাড়ির মৃত হরিপদ দেবনাথের ছেলে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সন্তানদেরকে স্কুল থেকে বাসায় এনে স্বামীর মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন বলে জানান স্ত্রী প্রিয়াংকা দেবনাথ।
স্ত্রী প্রিয়াংকা ক্রাইম রিপোর্টকে জানান, আমি প্রতিদিনের মত সকাল নয়টায় আমার দুই কন্যা নিপা (৯)ও দিপাকে (৬)কে নিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যা নিকেনে যাই। দুপুর বারটা ৪৫ মিনিটে বাসায় এসে দেখি দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। পরে দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি আমার স্বামী গলায়লার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।
মানিকের স্ত্রী প্রিয়াংকা দেবনাথ ও তার দুই মেয়ে।
প্রিয়াংকা আরো জানান,প্রায় ১০ বছর আগে আমাদের বিবাহ হয়।আমার বাবার বাড়ি বেলঘর দেবনাথ বাড়ি।আমাদের সংসারে কোনো ঝামেলা ছিলো না।আগে আমার স্বামী হাজীগঞ্জ বাজারস্থ বলিয়ার কাদের মেম্বারের বাসার ক্লথ স্টোরে দর্জির কাজ করতো।ঐ দোকান বিক্রির পর বাসাতেই দর্জি কাজ করে সংসার চালাতো সে।তাঁর মা বাবা ভাই বোন কেউ নেই।সম্পত্তি আছে সিদলা গ্রামে।যে বাসাতে থাকি এখানে ৩ শতাংশ জায়গা ওর নিজের।সিদলা গ্রামে আছে আরো ৭ শতাংশ।
অনুসন্ধানে জানা যায়,এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য একটি মহল তদবির অব্যাহত রেখেছে।ঢাকা থেকে এফডিসির এক বড় কর্তা ও বিভিন্ন মহলে ফোন করে তদবির করছেন।মানিকের স্ত্রী প্রিয়াংকার বাপের বাড়ি বেলঘরের লোক সে।প্রিয়াংকার বাবা মন্টু ডাক্তারের সাথে ওর সখ্যতা রয়েছে।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, পরকীয়া কিংবা কোটি টাকার সম্পত্তির লোভে পরিকল্পীতভাবে মানিককে কেউ মেরে ঝুলিয়ে রাখতে পারে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,সন্দেহের তীর মানিকের স্ত্রীর দিকে।মানিকের স্ত্রী ও দুই সন্তান এখন মানিকের কোটিটাকা মূল্যের সম্পত্তির মালিক।লাশ উদ্ধারের একদিন পর মানিকের ঘরে ঘিয়ে দেখা যায়,মানিকের স্ত্রী ঘরের ভেতর বসে আছে,মানিকের শ্বাশুড়ীর চোখেমুখে খুশির চাপ স্পষ্ট।মানিকের দুই শালিকাও বেজায় খুশি।আরো এক যুবককে দেখা গেছে ঘটনার দ্বিতীয় দিন ঘটনাস্থলে।সে যুবক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্রাইম রিপোর্টের অনুসন্ধানী টিমের অনুসন্ধান চলছে।কোটিপতি মানিক সুদে টাকা খাটাতো বলেও এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।ঐ যুবকের সাথে মানিকের বড় অংকের লেনদেন থাকতে পারে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়।