শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে মিতু হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

 

ক্রাইম রিপোর্ট ডেস্ক


চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের আলোচিত মিতু আক্তার (২১) হত্যা মামলার আসামি মো. হজরত আলীকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২)-এর বিচারক সাহেদুল করিম এ রায় দেন।

হত্যার শিকার মিতু আক্তার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং কালোচোঁ ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ হযরত আলী একই উপজেলার  কীর্তনখোলা গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মিতু আক্তারের সঙ্গে ২০১৩ সালে আসামি হজরত আলীর মোবাইলে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক হয়। ওই বছরই তারা উভয়ে নিজ ইচ্ছায় হাজীগঞ্জে কাজী অফিসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর শ্বশুরাবাড়ি গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন; যার ফলে ২০১৬ সালের ২৫ জুন নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে মিতু ও হজরত আলীর তালাক সম্পাদন হয়। এর মধ্যে হজরত আলী প্রবাসে চলে যান এবং মিতুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখেন। ২০১৭ সালের জুন মাসে আবার দেশে ফিরে আসেন হজরত আলী এবং পরের মাসের ২৩ জুলাই মিতুকে নিয়ে চাঁদপুর শহরে ঘুরতে আসেন। ঘুরাঘুরি শেষে মিতুকে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে যান। ওই দিন রাতেই হজরত আলী ও তার বন্ধুরা মিতুদের বাড়িতে খেতে আসবে বলে জানান। রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে হজরত আলী বন্ধুদের তাদের বাড়ির সামনে থেকে এগিয়ে নিতে মিতুকে অনুরোধ করেন। মিতু এগিয়ে আনতে গেলে হত্যার শিকার হন। তার মা রাবেয়া বেগম মেয়ে ঘরে ফিরে আসছে না দেখে এগিয়ে গিয়ে এলাকার আবদুর রহমানের ঘরের দক্ষিণে পুকুর পাড়ে মিতুর গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় মিতুর মা রাবেয়া বেগম পরদিন ২৪ জুলাই হজরত আলীকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামিকে হজরত আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।

মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব পান তৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন। তিনি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘মামলাটি প্রায় ৭ বছর চলেছে। আদালত ১৯ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। আসামি নিজেও অপরাধ স্বীকার করেছেন। মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আজ বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।’

এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর ও ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম।

Comments are closed.

More News Of This Category