ক্রাইম রিপোর্ট ডেস্ক
কাতার বিশ্বকাপ শেষেই অবসরে যাওয়ার কথা ছিল লিওনেল মেসির। তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সে সিদ্ধান্ত বদলেছে আর্জেন্টাইন মহাতারকার। আরও কিছুদিন দলের সঙ্গে সময়টা উপভোগ করতে চান তিনি। কিন্তু ঠিক কতদিন খেলতে চান, সেটা স্পষ্ট করেননি।
এদিকে গত ৩০ অক্টোবর অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ের পর ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলার ভাবনা নিয়েও। বয়স বিবেচনায় ২০২৬ সাল পর্যন্ত খেলে যাওয়া কঠিন হলেও এখনই হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না এ ফুটবল জাদুকর।
গত ডিসেম্বরেই বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে ফুটবল ক্যারিয়ারের ষোলোকলা পূর্ণ করেছেন মেসি। ক্লাব কিংবা জাতীয় দল; অর্জনের আর কিছু বাকি নেই তার। তাই বলে এখনই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইতি টানতে চান না বর্তমানে ক্লাব ফুটবলে ইন্টার মায়ামি ফরোয়ার্ড।
গত জুনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে জয়ের পর এক সাক্ষাতকারে মেসি বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপে আমি প্রচুর উপভোগ করেছি, যা আগে কখনো হয়নি আমার সঙ্গে। জানতাম যে এটাই হবে আমার শেষ বিশ্বকাপ। সত্যি করে বলতে, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন না হলে আমি আর জাতীয় দলে থাকতাম না। আজ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমি জাতীয় দলকে ছেড়ে যেতে পারি না এবং এর সবটুকু আমার উপভোগ করা উচিত। এই দলের মধ্যে প্রচুর মানসিক শান্তি ও আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাই আমি।’
৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে গত বছর তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা আর্জেন্টিনার নজর এখন ২০২৬ বিশ্বকাপে। আপাতত তাদের সব পরিকল্পনা বাছাইপর্বের ম্যাচকে ঘিরে। কাতার বিশ্বকাপের পর এখানেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন মেসি। ইনজুরির কারণে এক ম্যাচ খেলতে না পারলেও বাকি তিন ম্যাচেই ছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
ইকুয়েডর ও পেরুর বিপক্ষে দলকে জিতিয়েছেন একাই। ওই দুই ম্যাচেই মেসির পা থেকে এসেছে ৩ গোল। বয়সটা বেড়ে ৩৬ হলেও মাঠের পারফরম্যান্সে এখনো যেন চিরতরুণ তিনি। মেসির কাছে তাই প্রশ্ন ছিল, পরবর্তী বিশ্বকাপেও খেলতে চান কিনা তিনি? এ বিষয়ে মেসি বলেন, ‘২০২৬ বিশ্বকাপ? বয়স বিবেচনায় ওই সময় পর্যন্ত খেলা আমার জন্য কঠিন। কিন্তু দেখা যাক…।’