শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে চব্বিশ ঘন্টা লোডশেডিং!

বিশেষ প্রতিনিধি,চাঁদপুর


চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত গ্রাহকগণ  চব্বিশ ঘন্টা  লোডশেডিংয়ের কারণে ফুঁসে উঠছে।প্রতিদিন দিনে রাতে ৫-৬ ঘন্টা টানা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ  থাকায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে আবাসিক ও বাণিজ্যক গ্রাহকগণ।পবিস কতৃপক্ষ কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই গত ১৯ জুলাই থেকে সমিতি এলাকার বিভিন্ন ফিডারে কোথাও চার ঘন্টা কোথাও তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।এতে বিভিন্ন ফিডারের গ্রাহকগণ অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ দিতে গিয়েও লাইনটি ব্যস্ত পান।

সূত্রমতে,চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া উপজেলায় ৫৬৯ টি অঅন্তর্ভুক্ত গ্রামে ২ লাখ ৩১হাজার ৪৬৫ টি পরিবারকে দুইটি জোনাল অফিস ও একটি সাব জোনাল অফিস ও ৭ টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সেবা সরবরাহ করে আসছে পবিস-১ ।এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ২লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৫ জন।বাণিজ্যিক গ্রাহক ৩২হাজার ৯০৮ জন।সেচ গ্রাহক ২ হাজার ২৭২ জন।শিল্প গ্রাহক ২ হাজার ৫১৪ জন। সিআই ৪ হাজার ৮৫৫জন গ্রাহক রয়েছে


ফুঁসে উঠছে গ্রাহকগণ 


চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডি ফিডার এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রাহক অভিযোগ করেন ১৯ জুলাই দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিলো। আবার রাত দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত এ ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিলো।এরই মধ্যে প্রায় কুড়ি বার আসা যাওয়ার খেলায় ছিলো বিদ্যুৎ।মধ্যরাতেও প্রায় এক ঘন্টার মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিলো।
বুধবার (২০ জুলাই) সকাল থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত  দফয় দফায় লোডশেডিং দেয়া হয়েছে।এতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে গ্রাহকগণ অভিযোগ করেন। এমনকি হটাৎ এক মিনিটের মধ্যে তিনবার বিদ্যুৎ যাওয়া আসার ঘটনার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল উঠছে বলেও অভিযোগ গ্রাহকদের।
ভুক্তভোগী বিভিন্ন এলাকার ভিন্ন ভিন্ন ফিডারের আওতাভুক্ত গ্রাহকগণ মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান,ঘোষণা দিয়ে এলাকা-সময়  নির্ধারণ করে পবিস কর্তৃপক্ষ লোডশেডিং দিলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।দিনে বিশ ত্রিশ বার লোডশেডিং দেয়া হলে আমরা পল্লী বিদ্যতের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে  কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।
বিদ্যুতের ঘাটতি সমন্বয় করতে আপাতত দিনে এক ঘন্টা লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রি নসরুল হামিদ।চাঁদপুর পবিস -১ এ দিনে পাঁচ ছয় ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে কেনো? এমন প্রশ্নের জবাবে চাঁদপুর পবিস -১ এর এজিএম (ওএন্ডএম) মুহাম্মদ মজিবুর রহমান শেয়ার বিজকে বলেন,”এক ঘন্টা বলেছে আপনাকে মানে যখন বন্ধ হবে তখন থেকে এক ঘন্টা।এক বার বলে নাই। একবার না তো। যদি বলতো যে একবার তাহলে ঠিক আছে। এক ঘন্টা হ্যাঁ। আমাদের আমাদের লোডশেড যেভাবে চলতেছে সেখানে হলো আপনার আমরা যে লরিমাণ ডিমান্ড,ডিমান্ড অনুযায়ী আমরা সাপ্লাই পাচ্ছি কম। সে অনুযায়ী আমাদেরকে চব্বিশ ঘন্টা লোডশেড করতে হচ্ছে। চব্বিশ ঘন্টাই লোডশেড।”

Comments are closed.

More News Of This Category