চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের কচুয়ায় এই প্রথম “আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ” নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়েছে।
বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামে
আনুষ্ঠানিকভাবে স্তম্ভটি উদ্বোধন করেন কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির ও কচুয়া পৌরসভার মেয়র মো. নাজমুল আলম (স্বপন)।ওই গ্রামের বায়তুল আমান জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল মিয়াজী “আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ” নির্মাণের জন্য প্রথমে উদ্যোগ নেন। এরপর তাঁর বড় ছেলে আব্দুল হান্নান মিয়াজী ও স্থানীয়দের অর্থয়ানে প্রায় ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্তম্ভটি নির্মাণ হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী মো. জাকির হোসেন মিয়াজী, মো. আমান উল্যাহ, আবু বকর মজুমদার, মো. সুমন, মো. ওয়াদুদ মজুমদার, এডভোকেট আইয়ুব আলী, মো. আবদুল হান্নান মিয়াজী, মোস্তফা ফখরুদ্দীন আহমেদ ও মো. বোরহান উদ্দিন মজুমদার।
আবদুল হান্নান মিয়াজী বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম ডুমুরিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের সামনে “আল্লাহর ৯৯ নামের স্তম্ভ” এই স্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়েছে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে। এখানে রাস্তা দিয়ে যেসব লোকজন হাটাচলা করবে তারা দেখবে পড়বে। এতে তাদের যেমন সাওয়াব হবে এবং নির্মাণে জড়িতরাও সাওয়াব পাবে। এটি উচ্চতায় প্রায় ৪০ফুট। এটি নির্মাণে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আমি নিজে অর্থয়ান করেছি, পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও যার যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করেছেন।
বায়তুল আমান জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মিয়াজী বলেন, আমার ছোট ভাই মোস্তফা কামাল আল্লাহর ৯৯ নামের এই স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। দেশে এই ধরণের স্তম্ভ আরো কয়েকটি আছে। সেগুলো দেখেই সে অনুপ্রেরণা পায়। এরপর বিষয়টি সন্তান আব্দুল হান্নানকে জানান। ছেলেও তার সাথে একমত হয় এবং নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আলহামদুলিল্লাহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন মানুষ এটি দেখবে, আল্লাহর নাম স্মরণ করবে, এটাই আমাদের বড় পাওনা।
মো. মোস্তফা কামাল মিয়াজী বলেন, এক সময় আমাদের এলাকার লোকজন মসজিদ না থাকায় রাস্তায় নামাজ পড়তো। আমরা উদ্যোগ নিয়ে পরবর্তীতে বায়তুল আমান জামে মসজিদ নির্মাণ করি। এরপর নিজেদের মধ্যে চিন্তা হয় একটি স্মরণীয় কিছু নির্মাণ করার। তখনই আল্লাহর ৯৯ নাম সম্বলিত স্তম্ভ নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহন করি। আসা-যাওয়ার পথে আল্লাহকে স্মরণ করার জন্যই মূলত এটি নির্মাণ করা।