চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত গ্রাহকগণ প্রতি ঘন্টায় দীর্ঘ লোডশেডিংয়ের কারণে ফুঁসে উঠছে।প্রতিদিনই দিনে রাতে গড়ে ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছে আবাসিক ও বাণিজ্যক গ্রাহকগণ। পবিস কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই ইফতার সেহরি ও তারাবির নামাজের সময় সমিতি এলাকার বিভিন্ন ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রমতে,চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া উপজেলায় ৫৬৯ টি অন্তর্ভুক্ত গ্রামে ২ লাখ ৩১হাজার ৪৬৫ টি পরিবারকে দুইটি জোনাল অফিস ও একটি সাব জোনাল অফিস ও ৭ টি উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সেবা সরবরাহ করে আসছে।এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ২লাখ ৮৬ হাজার ৪৪৫ জন।বাণিজ্যিক গ্রাহক ৩২হাজার ৯০৮ জন।সেচ গ্রাহক ২ হাজার ২৭২ জন।শিল্প গ্রাহক ২ হাজার ৫১৪ জন। সিআই ৪ হাজার ৮৫৫জন গ্রাহক রয়েছে।প্রতিদিনই ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং হওয়ায় এসব গ্রাহকগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বিভিন্ন ফিডার এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রাহকগণ অভিযোগ করেন,প্রতিদিনই সেহরি ইফতার তারাবির নামাজের সময় লোডশেডিং করা হচ্ছে ইচ্ছেকৃত ভাবে।এতে রোজাদারসহ সমিতি এলাকার গ্রাহকগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এতে মুঠোফোনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ করতে গিয়েও লাইনটি ব্যস্ত পাচ্ছেন গ্রাহকগণ। অভিযোগ উঠে,ইচ্ছেকৃতভাবেই অভিযোগ বক্সের সংযোগটিও ব্যস্ত রাখা হচ্ছে।
এমনকি এক ফোটা বৃষ্টি হলেই ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং করার অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে।এ বছর একনাগাড়ে ২৪ ঘন্টা লর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে ঝড়বৃষ্টির অজুহাতে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী গ্রাহকদের।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত পর্যন্ত দফয় দফায় প্রায় ছয় বার লোডশেডিং করা হয়েছে।প্রতিবারই প্রায় ২০-২৫ মিনিট পর্যন্ত লোডশেডিং করা হয়েছে।এতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে গ্রাহকগণ অভিযোগ করেন। এমনকি হটাৎ এক মিনিটের মধ্যে তিনবার বিদ্যুৎ যাওয়া আসার ঘটনার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল উঠছে বলেও অভিযোগ গ্রাহকদের।
ভুক্তভোগী বিভিন্ন এলাকার ভিন্ন ভিন্ন ফিডারের আওতাভুক্ত গ্রাহকগণ মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান,ঘোষণা দিয়ে এলাকা-সময় নির্ধারণ করে পবিস কর্তৃপক্ষ লোডশেডিং দিলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।দিনে বিশ ত্রিশ বার লোডশেডিং দেয়া হলে আমরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -১ এর জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আতিকুজ্জামান চৌধুরী ক্রাইম রিপোর্টকে বলেন,’বিদ্যুতের ঘাটতি এ জন্য লোডশেডিং করা হচ্ছে।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছয় দফা লোডশেডিং অব্যাহত ছিলো।