ক্রাইম রিপোর্ট ডেস্ক
জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার। শিগগিরই চলতি মার্চের জন্য নির্ধারিত দামের প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। এতে ডিজেলের দাম কমতে পারে প্রতি লিটারে ৪ টাকা। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১৫ টাকা কমানো হতে পারে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, বর্তমানে ডিজেল বিক্রি করে তেমন কোনো লাভ হচ্ছে না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি)। তবু কিছুটা ছাড় দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।
মূল্য নির্ধারণের নতুন সূত্র অনুসারে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৫ টাকা হতে পারে, যা বর্তমানে ১০৯ টাকা।ভেজাল প্রতিরোধে কেরোসিনের দাম ডিজেলের সমান রাখা হবে। অকটেনের নতুন দাম হতে পারে লিটারপ্রতি ১১৫ টাকা, যা এখন ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। পেট্রোল বিক্রি করা হতে পারে লিটারপ্রতি ১১১ টাকায়। এখনকার দর ১২৫ টাকা।
অবশ্য বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফলে কার্যত যদি ডিজেলের দাম না-ও কমে, তবু কমবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম। কারণ, জ্বালানি বিভাগ নতুন মূল্য সমন্বয় প্রক্রিয়ায় ঠিক করেছে যে ডিজেলের চেয়ে অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা বেশি থাকবে। আর অকটেনের চেয়ে ৪ টাকা কম হবে পেট্রোলের দাম। ফলে ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও অকটেনের দাম লিটারে ১১ টাকা ও পেট্রোলের দাম ১০ টাকা কমার কথা।
জ্বালানি তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হয়ে এলে নতুন দামের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি করে সব সময়ই মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে।দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। দীর্ঘ সময় ধরে ডিজেল বিক্রি করে মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ শুরু হচ্ছে এ মাস থেকে। এতে জ্বালানি তেলের দাম কমতে পারে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন হয়নি।