ডেস্ক রিপোর্ট
ভোক্তা পর্যায়ে সরকারি এলপিজি গ্যাসের প্রতি ১২.৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম হবে ৫৯১ টাকা। আর বেসরকারি সমান আয়তনের সিলিন্ডারের দাম হবে ৯৭৫ টাকা। সোমবার থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।প্রথমবারের মতো ভোক্তা পর্যায়ে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)-র দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।সোমবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় কমিশন।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসেই এই দাম পরিবর্তিত হতে পারে।এত দিন দেশের একেক স্থানে এলপিজি গ্যাসে দাম একেক রকম নেওয়া হতো। চাহিদা সংকটের সময় বাড়তি দাম আদায়ের অভিযোগও পাওয়া যেতো। এ প্রেক্ষাপটে ১৪ জানুয়ারি বিক্রয়কারী কোম্পানিগুলোর দাম নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি।
বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল বলেন, “সারা দেশের বিক্রেতাদের এই আদেশ অনুসরণ করতে হবে। কেউ সেটা লঙ্ঘন করলে কোন ভোক্তা যদি অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।”
তবে সিলিন্ডারের মান নিশ্চিত করার বিষয়ে কমিশন কী করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিলিন্ডারের মানের বিষয়ে আরও কিছু সংস্থার দায়িত্ব রয়েছে। তারপরও নিম্নমানের হয়ে থাকলে সেসব সংশ্লিষ্ট দপ্তর ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে আদেশ দেওয়ার নিয়ম। সেই হিসেবে ১৪ এপ্রিল সেই সময় শেষ হচ্ছে। তার আগেই কমিশন থেকে দাম নির্ধারণের এই ঘোষণা এলো।
সাধারণত সৌদি কন্ট্রাক্ট প্রাইস (সিপি) অনুযায়ী দেশে এলপিজি গ্যাসের দাম নির্ধারিত হয়। সেই সঙ্গে এলসি মার্জিন, জাহাজ ভাড়া, পরিবহন ব্যয়, ডিলারের লভ্যাংশ, উদ্যোক্তার মুনাফা বিবেচনায় নিয়ে বাজার দর নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) গণশুনানির মাধ্যমে এলপিজির দাম নির্ধারণের জন্য একটি রিট আবেদন করেছিল। এই রিটের শুনানি শেষে আদালত বিইআরসিকে গণশুনানি করে এলপিজির দাম নির্ধারণের আদেশ দেয়।