সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পল্টন থানা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনে অনিয়মের অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার


রাজধানীর পল্টন থানা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন মিরন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, মাস ছয়েক আগে পল্টন থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন মিরনকে নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই অভিযোগে ভিত্তিতে তাকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে রনি হাসানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কিন্তু যে অভিযোগে মিরণের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের হয়েছিল তাতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে নির্দোষের প্রমাণপত্র ও সভাপতি পদে পুনর্বহালের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি আবেদন করেন মিরন। কিন্তু ওই আবেদনের সুরাহা না হওয়ার আগেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ তড়িঘড়ি করে পল্টন থানা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করে দেন। এছাড়া কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার সময় সুপার কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা প্রায় ১০-১২ জন নেতাকে কোন কারণ ছাড়াই বাদ দেয়া হয়। এমন অছাত্র, দোকান কর্মচারী, বহিরাগত ও স্কুলছাত্রদের কমিটিতে পদ দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ রনিকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করলেও অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্যাডে সংগঠনের নিয়ম বহির্ভূত ‘ভারপ্রাপ্ত সভাপতি’ উল্লেখ না করে ‘সভাপতি’ উল্লেখ করেন।

এদিকে জানা যায়, পল্টন থানা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রনি হাসানের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। চলতির বছরের জানুয়ারির দিকে রনির চাঁদাবাজির সংবাদ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া গত ৯ অক্টোবর পল্টন থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আল জাহিদের বিরুদ্ধেও পল্টনে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িদখল ও চাঁদাবাজির রিপোর্ট একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

এছাড়া জাহিদ ক্যাসিনোর গডফাদারদের ক্যাডার হিসেবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শেখ মিরন জানান, মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় সভাপতি পদ ফিরে পাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ছিল। এসব কারণে তড়িঘড়ি করে তাকে বাদ দিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে পল্টন থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান জয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মিরন তার মামলা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।

Comments are closed.

More News Of This Category