ক্রাইম রিপোর্ট ডেস্ক
যশোরে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ছাড়িয়ে তীব্র দাবদাহে রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ। শহরতলীর ঝুমঝুমপুরে যশোর-নড়াইল সড়কের রাস্তার পিচ পর্যন্ত গলে যেতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে মানুষ। কিন্তু তেমন সুসংবাদও নেই বৃষ্টিপাতের। উল্টো; জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। যশোর আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে এমনটিই বলা হয়েছে।
যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস মতে, শুক্রবার যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকেল ৩টার সময় তা বেড়ে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। এদিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল যশোর।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) যশোরে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সহসাই এ তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি মিলছে না বলে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের মতে, যশোরের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তামপাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়ায় হলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে গলে যাচ্ছে রাস্তার পিচ। বৃহস্পতিবার শহরতলীর ঝুমঝুমপুরে যশোর-নড়াইল সড়কের রাস্তার পিচ পর্যন্ত গলে যেতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তেজ বাড়তে থাকে। দিনভর দাপট দেখাতে থাকে জ্যৈষ্ঠের তেজি সূর্য। দুপুরের দিকে তাপের দহন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। ফলে দুপুরের দিকে শহরে মানুষজনের চলাফেরা বেশ খানিকটা কমে আসে। এদিকে, বিকালের দিকে সূর্যের তাপ কমে এলেও গরম অব্যাহত ছিলো।