বিশেষ প্রতিনিধি,চাঁদপুর
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গ্রামীণ সড়কের জায়গা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।এতে নতুন সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ করতে পারছেন না ঠিকাদার।অবৈধ সীমানা প্রাচীর না ভেঙেই অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে সীমানা প্রাচীর ভাঙার মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন অবৈধ দখলদার নিজেই।এতে এলাকার মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে,উপজেলার ২ নং বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামে শ্রীপুর বাজার -ফকিরহাট (আইডি নং ৪১৩৪৯৪০৭৩)রাস্তায় রাধাসার ও স্বর্ণা মৌজায় জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন আবদুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি।রাস্তার নকশা অনুযায়ী রাধাসার মৌজায় ২৩ ফুট স্বর্ণা মৌজায় ২০ ফুট জায়গা থাকলেও স্বর্ণা মৌজায় ৮ ফুট জায়গা উন্মুক্ত থাকলেও ১২ ফুট জায়
গা অবৈধ দখল করে বাড়ি ও বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন আবদুল মান্নানগং।বর্তমানে রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ চলমান থাকায় রাস্তা নির্মাণে জটিলতা সৃষ্টি হলে আবদুল মান্নান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দিতে সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়ার আশ্বাস দিলেও তিনি সীমানা প্রাচীর না ভেঙে উল্টো তাঁর সীমানা প্রাচীর জোরপূর্বক ভাঙার অভিযোগ করেন হাজীগঞ্জ থানায়।যার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আবারও রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিতে বলেন আবদুল মান্নানকে। মান্নান কারও কথায় কর্ণপাত না করে এখনও সীমানা প্রাচীর না ভাঙায় এই সড়কের কাজ করতে পারছেন না ঠিকাদার।
হাজীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমান বলেন,রাস্তার কাজ শেষ করতে হলে সীমানা প্রাচীর সরাতে হবে।কিন্তু কি কারণে এখনও সীমানা প্রাচীর ভেঙে সড়কের জায়গা উন্মুক্ত করে দিচ্ছেন না অভিযুক্ত ব্যক্তি তা আমার জানা নেই।আমরা তাঁকে সীমানা প্রাচীর ভাঙতে বলেছি।
স্থানীয় ২ নং বাকিলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আবদুল মান্নান সড়কের জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় সড়কের নতুন কাজ করতে জটিলতা তৈরি হয়েছে।আমরা এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তি সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়ার জন্য বলেছি।কিন্তু তিনি কারও কথা শুনছেন না।