শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদিতে ফটিক হত্যার সব আসামি খালাস

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি


কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর চানপুর গ্রামের ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিক হত্যা ‍মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকো

মঙ্গলবার ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামিদের আপিল গ্রহণ করে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড.মো.বশির উল্লাহ।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড.মো.বশির উল্লাহ বলেন, ডাকাতদের ধরিয়ে দেওয়ার কারণে আসামিরা সম্মিলিতভাবে ঈদের আগের দিন ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিককে হত্যা করে। এ হত্যা মামলায় কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত শরীফকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। বাকি পাঁচজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছিল।

তিনি বলেন, এ মামলায় হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে। এ ছাড়া আসামিরা আপিল করেন। পরে শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে আদালত ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করে আসামিদের আপিল অ্যালাউ করেছেন। ফলে শরীফের আর মৃত্যুদণ্ড হবে না। সে বেকসুর খালাস। যারা যাবজ্জীবন তারাও খালাস। সব আসামি বেকসুর খালাস।

খালাসের বিষয়ে ড.মো.বশির উল্লাহ জানান, কারণ হচ্ছে প্রসিকিউশন বা বাদী পক্ষ এ মামলাটিতে সঠিকভাবে সাক্ষী দিতে পারেনি। একজন আসামি আলমগীর সে স্টেটম্যান দিয়েছিল সেটা এক্সকালপেটরি ইন নেচার (সে নিজেকে না জড়িয়ে বক্তব্য দেন)। সেটাও আদালতে গ্রহণযোগ্য না। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার চানপুর গ্রামে ওয়েজ উদ্দিন ওরফে ফটিক বিগত ২০০৮ সালের ১ অক্টোবর রাতে অপহৃত হয়। অনেক খোঁজাখুজির পর ৮ অক্টোবর চানপুর এলাকার ফাইন ফুড ফিসারি থেকে তার মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় ফটিকের ভাই মইন উদ্দিন কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে পুলিশ মামলার আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদকালে আলমগীর হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

এরপর ২০১৪ সালের ২৯ জুন বিচারিক আদালত এ মামলায় রায় দেন। রায়ে আসামি শরীফকে মৃত্যুদণ্ড এবং জামিল, সোলেমান, নূর মোহাম্মদ, সাদেক এবং আলমগীরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আসামিদের মধ্যে নূর মোহাম্মদ ও আলমগীর পলাতক।

Comments are closed.

More News Of This Category