ক্রাইম রিপোর্ট (ডেস্ক রিপোর্ট)
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার মামলা রুল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পলাতক তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।
গতকাল আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম ও নাসরিন সিদ্দিকা লিনা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এদিকে গতকাল সকালে রুল শুনানিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল শুনানি পিছিয়ে বুধবার করার কথা বলেন। এ সময় কায়সার কামালের উদ্দেশে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘শুনানি কখন হবে সেটি আপনি বলার কে?’
বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তখন হইচই শুরু করেন। তারা কামরুল ইসলামের উদ্দেশে ‘গমচোর, গমচোর’ বলে আওয়াজ করেন।
আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা কামরুল ইসলামের বক্তব্যে সমর্থন জানান।
আদালতে কায়সার কামাল বলেন, ‘এজলাসের ভেতরে তিনি (কামরুল ইসলাম) যে ভাষায় কথা বলছেন, আমাদের তো বাইরে বের হতেই ভয় হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ পরে আদালতের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং আদালত শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন।
এর আগে ১৩ আগস্ট ঠিকানা সংশোধন করে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জারি করা রুলের নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী তারেক রহমানের গুলশানের ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ বোর্ড এবং একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হয়।
তবে বিএনপির আইনজীবীরা আদালতে বলেন, গুলশানের যে ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে, সেটি তারেক রহমানের সর্বশেষ ঠিকানা নয়। তিনি এখন লন্ডনে, তাই ওই ঠিকানায় নোটিশ পাঠাতে হবে।
তবে আদালত বলেন, আইন অনুযায়ী আবেদনকারীরা নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। বুধবার (আজ) এ রুল শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে।