শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে তরুনীকে ধর্ষণের ঘটনায় কথিত প্রেমিকসহ সহযোগী গ্রেফতার

 

বিশেষ প্রতিবেদক 


পঞ্চগড়ের বোদায় এসে কথিত প্রেমিকসহ তার বন্ধুদের কাছে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন নরসিংদী জেলার এক তরুণী। শনিবার গভীর রাতে ওই তরুণী বোদা থানায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকসহ তার সহযোগী আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাতে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দু’জনকে রোববার বিকেলে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মামলার আসামিরা হলো-বোদা উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেক (২৫), তার বন্ধু প্রসাদ খাওয়া এলাকার রহিদুলের ছেলে মো. আপন (২৫), আরেক বন্ধু একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০) এবং বামনপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২)।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় নরসিংদী জেলার ওই তরুণীর। প্রায় ৯ মাসের প্রেমের সূত্র ধরে মালেকের কথায় এবং বিয়ের আশ্বাসে শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের বোদায় চলে আসেন নরসিংদীর ওই তরুণী। পরে আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় মালেক বোদার প্রসাদ খাওয়া এলাকার একটি বাড়িতে তাকে নিয়ে যায়। পরে ওই বাড়িতে আশরাফুল ও আপন নামে অন্য দুই তরুণ আসে। বাড়িতে অন্য কোনো লোক না থাকায় সেখানে মেয়েটি থাকতে রাজি হয়নি। বিয়ের জন্য রাতেই তাকে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাশের একটি আম বাগানে নিয়ে মালেক, আপন ও আশরাফুল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেনসহ আরও দুই-তিনজন পাহারায় ছিল। কিন্তু মেয়েটির চিৎকার-চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা বাগানে টর্চলাইট নিয়ে এগিয়ে এলে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

বোদা থানা পুলিশের ওসি সুজয় কুমার রায় বলেন, মামলার পর প্রধান আসামি মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমকে বহনকারী একটি ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। খবর পেয়ে তাঁর অভিভাবকরা বোদা থানায় এসেছেন। তরুণীকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Comments are closed.

More News Of This Category